তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা জানালেন। লিখলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ।’ গতকাল বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পর আজ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন।
তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি এই মুহূর্তে দল এবং দলের দেওয়া সমস্ত পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। দল আমাকে যেসব সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। একজন সদস্য হিসাবে দলে আমি যে মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছি, তার কদর আজীবন করব।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদ্য গঠন করা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ এই ২২ বছরের সম্পর্ক শেষ করলেন শুভেন্দু। তবে দল ছাড়ার কোনও কারণ চিঠিতে উল্লেখ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুরোধ করেছেন যাতে এই পদত্যাগপত্র দ্রুত গৃহীত হয়।
একদিকে, যখন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ঘাসফুল প্রতীক প্যাডের পাতায় পৌঁছেছে তাঁর দল ছাড়ার বার্তা, তখন অন্যদিকে তমলুকের নিমতৌড়িতে সভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দিয়েছেন ইঙ্গিতপূর্ণ বেশ কয়েকটি বার্তাও। তিনি বলেন, ‘জনশক্তি রয়েছে, এটাই তো আসল শক্তি।’
মন্ত্রিত্ব, বিধয়াক পদ ছাড়াও শুভেন্দু হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথিরিটি, এইচআরবিসি–র চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দল ছেড়ে তিনি তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে শুভেন্দু কোনও পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় এখনও পর্যন্ত কোনও কারণ দেখাননি। তবে বিধায়ক পদ থেকে তাঁর ইস্তফার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এদিন সভায় উপস্থিত এক সাংবাদিক শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, নিজেকে মুক্ত বলে মনে হচ্ছে? তখনও অবশ্য তিনি দল ছাড়েননি। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ অত্যন্ত সাবলীলভাবে প্রশ্নের উত্তর দেন একটি শব্দ ব্যয়েই। বলেন, ‘বন্দেমাতরম’।
