করোনাবিধি সতর্কতার তোয়াক্কা না করেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হল আইএনটিটিইউসি-র জেলা কর্মী সম্মেলন। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ফূৎকারে উড়িয়ে দিলেন রাজ্য সভাপতি। সেই সঙ্গে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন আইএনটিটিউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘করোনার থার্ড ওয়েভ শুধু শুভেন্দু অধিকারী বলছে, আর কেউ বলছে না।’
আসানসোলের কল্যাণপুরে এক প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও আইএনটিটিউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই তৃণমূল কর্মীরা কার্যত হই-হুল্লোড় শুরু করে দেয়। প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে ঠাসাঠাসি ভিড়, বেশিরভাগ কর্মীর মুখে নেই মাস্ক। শারীরিক দূরত্ববিধি তো দূরের কথা, পা ফেলার জায়গা ছিল না সেখানে। বারবার কর্মীদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে কর্মীদের একটা বড় অংশ মঞ্চে উঠে পড়েন ছবি তোলার জন্য। নেতাদের বক্তব্য না শুনেই সেলফি তোলার জন্য হিুড়িক শুরু হয়। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বল্প বক্তব্যে এদিন বার্তা দেন, আইএনটিটিউসির ভিন্ন ভিন্ন কোনও সংগঠন থাকবে না। ট্রেড ইউনিয়নের নামে কোনও চাঁদা নেওয়া যাবে না। পার্টির প্যাড ব্যবহার করে কোনও বেআইনি কাজ করা যাবে না। দলের ৩৫টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির মধ্যে নতুন মুখ ৩২ জন। তাই তৃণমূলের এই শ্রমিক সংগঠনকে ঢেলে সাজাবার বার্তা তিনি দেন। পশ্চিম বর্ধমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএল, রেল, ইস্কো ও সিএলডবলুতে কোনও আইএনটিটিইসি সংগঠন নেই। সেই সংস্থাগুলোতে লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন বলে জানান ঋতব্রত।
পুরো পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন ঋতব্রত। প্রশ্ন করা হয়, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই পরিস্থিতি নিয়ে কী বলবেন? অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠনগুলির ভ্যাকসিন নিয়েই বা তাঁদের কী পরিকল্পনা রয়েছে জানতে চাওয়া হলে আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রতর দাবি, ‘করোনার থার্ড ওয়েভ শুধু শুভেন্দু অধিকারী বলছে, আর কেউ বলছে না।’