জেলা

‘‌আমি বসন্তের কোকিল নই’‌

রামনগরের সভায় তাকিয়ে ছিলেন সবাই। কিন্তু ফের হতাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ তিনি কথা দিয়েছিলেন, ১৯ তারিখ সব বলব। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরের সভায় তৃণমূলকে বিঁধলেও নিজের রাজনৈতিক অবস্থান খোলসা করলেন না শুভেন্দু অধিকারী। বরং তাঁকে নিয়ে জল্পনা বাড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমের একাংশ আক্রমণ করেন তিনি।
সমবায় সপ্তাহ পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে আয়োজন করা হয়েছিল বিশাল জনসভার। জনসভায় প্রায় ২০,০০০ মানুষ হাজির ছিলেন বলে দাবি আয়োজকদের। সেখান থেকেই নাম না করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে আমি সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। পয়সার জন্য নয়, নেশায় মানুষের কাজ করি। সমবায়ের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আমি।’
অখিল গিরির গড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু জানান, আমি একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। আমি একটা মন্ত্রিসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী রেখেছেন। উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভেতরে থেকে, মন্ত্রিসভায় থেকে বলা যায় না। আমরা বিদ্যাসাগরের দেশের মানুষ। আমরা এত অনৈতিক কাজ করি না। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মতান্তর, বিভেদ হয়, বিভেদ থেকে বিচ্ছেদও হয়। যতক্ষণ ওই দলে আছেন, বা মন্ত্রিসভায় আছেন, যতক্ষণ নিয়ন্ত্রকরা তাড়ায়নি বা আমি ছাড়িনি ততক্ষণ এসব মঞ্চে ওসব কথা বলা যায় না।
সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘অনেকে এই মঞ্চে আমি রাজনৈতিক কথা বলব বলে মনে করেছিলেন। তাঁদের ছড়ানো খবরের দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। আমি নেব না’। এদিনও শুভেন্দুর নিশানা ছিল তৃণমূল। নাম না করেই নিজের দলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘একদিন–দু’‌দিনের লোক নই তো, বসন্তের কোকিল নই তো আমি। সবার সঙ্গে আত্মিক পরিচয় রয়েছে। আর শুধু ভোট চাই ভোট দাও, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও তো বলি না। লকডাউনে, কোভিডে, আমফানে থাকি। নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছি’।