আগামী শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সমস্ত জল্পনার অবসান হতে চলেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, ওই দিনই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা ছিলই। এবার তা বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। কারণ ১৯ তারিখ রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এই বছরের জুন মাস থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে লাগাতার রাজ্যের শাসকদলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওযায় জোরালো চর্চা শুরু হয়। গত ২৭ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তাঁর তৃণমূল ছাড়া এবং বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়। মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। শুধু দলবদলের অপেক্ষা! হলদিয়ায় সতীশ সামন্তের জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কড়া ভাষায় শুভেন্দু বলেন, ‘ভারতকে বাদ দিয়ে বাংলা হয় না। আমরা আগে ভারতীয়, তার পরে বাঙালি। সতীশ সামন্তকে অ–হিন্দিভাষী বলে ভাবতেন না জওহরলাল নেহরু।’ এই কথা বলে তিনি খবরে সিলমোহর দিয়ে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এরপরই ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামের গণ–আন্দোলন মানুষের আন্দোলন ছিল। কোনও ব্যক্তি বা দলের ছিল না। আমার উপর বারবার হামলা হয়েছিল। আমি কোনও পদের লোভ করি না। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেও আমার সভায় লোক আসে। আমার সভায় লোক আনতে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন হয় না। আমি ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাসী নই।’ সুতরাং তৃণমূলে থাকার তাঁর প্রয়োজন নেই বার্তা দিতেই এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন তাঁর স্পষ্টবার্তা, মানুষ ভোটের সময় যখন বোতাম টিপবে তখন আপনাদের অবস্থাও অনিল বসু, বিনয় কোঙার, লক্ষ্মণ শেঠদের মতো হবে। যদিও এই ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা এখনও কল্পনা। তবে তিনি যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে সম্মানের সঙ্গেই কাজ করতে পারবেন। সারা দেশজুড়ে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।’
এই শুভেন্দু ইস্যুতে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘কেউ যদি প্রতিপক্ষ দলে যায়, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’ তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘কেন গেল, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে শুভেন্দুর মতো একজন নেতা দল ছাড়লে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’ আর বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘তিনি কেন যাচ্ছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে থাকলে ভালো হতো।’
