তৃণমূলের কাঁথির সভার পর পাল্টা জবাব দিতে মাঠে নামলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী। জনস্রোতে ভেসেছেন তিনি এবং পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলকে। পদযাত্রা থেকেই তিনি বলেন, ‘মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতকদের জন্ম হয় না। বলেছে, মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতকদের জন্ম হয়। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম–পূর্ব সহ সমগ্র মেদিনীপুরের আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। ৩৫টা আসনেই হারাব। গোহারা হারাব।’
বৃহস্পতিবার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী জানান, মেদিনীপুরের মাটি বর্ণপরিচয় স্রষ্টা বিদ্যাসাগরের মাটি। শহিদ ক্ষুদিরামের মাটি। স্বাধীনতা সংগ্রামী ড.সুশীল কুমার ধাড়া, মাতঙ্গিনী হাজরার মাটি। এখানেই তাম্রলিপ্ত সরকার গঠন হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বুধবার কাঁথিতেই মিছিল ও জনসভা করে তৃণমূল। অধিকারী গড়ে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে মীরজাফর খোঁচায় বিঁধেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিন তার জবাব দিলেন শুভেন্দু। পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন।
শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেছেন, তৃণমূলের সভায় দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে মাত্র ৫০০০ লোক হয়েছিল। আর আজকের সংখ্যাটা নিয়ে বলেন, ‘এটা ট্রেলার মাত্র।’ কাঁথিতে এদিন শুভেন্দুর রোড শো ঘিরে কার্যত জনজোয়ার, জনপ্লাবন দেখা গেল। পুষ্পবৃষ্টি, শুভেচ্ছা, অভিবাদনে কার্যত ভেসে যেতে দেখা গেল শুভেন্দুকে।
দলবদলের পর আজ প্রথম নিজের গড়ে সভা করছেন তিনি। তাই এই রোড শো ও সভা যে শুভেন্দুর কাছে প্রেস্টিজ ফাইট, তা বলাই বাহুল্য। গাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই রয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রমুখ। কাঁথি–মেচেদা বাইপাস থেকে মিছিল শুরু হয়ে রাজাবাজার হয়ে, শুভেন্দুর বাড়ির পাশ থেকে কলেজ রোড ধরে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোয় মিছিল।
