সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ওই রায়। সুশান্তের আত্মহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছিল সুশান্তের পরিবার এবং বিহার সরকার। অবশেষে সেই ইচ্ছাতেই শিলমোহর পড়ল। মুম্বই পুলিশের তরফে যাতে তদন্ত প্রক্রিয়ায় সিবিআইকে সাহায্য করা হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিন সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে যে, পাটনার রাজীব নগরে সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কেকে সিংয়ের দায়ের করা অভিযোগ আইনতই ছিল। সুশান্তের মৃত্যুর মামলায় সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়া পরই ট্যুইট করেন প্রয়াত অভিনেতার দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর থেকে প্রায় গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত মুম্বই পুলিশ শুরু করার প্রায় একমাস পর বিহারের রাজীব নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন প্রয়াত অভিনেতার বাবা কে কে সিং। সেখানেই রিয়া চক্রবর্তী–সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এফআইআর। বিহার পুলিশের একটি দল মুম্বইতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। বিহার পুলিশের ওই দলটি মুম্বই থেকে ফেরার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নীতীশ কুমার সরকার।
আত্মহত্যার বদলে জায়গা করে নেয় খুনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠতে শুরু করে সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। আর রিয়া চক্রবর্তীকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালি মহিলাদের ন্যাক্কারজনকভাবে আক্রমণ করা হয়। এই অশালীন আক্রমণের প্রতিবাদে রাজ্য মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই রাজ্য মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হয়। তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ।