ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। এবার উচ্চ শিক্ষায় এবং সরকারি চাকরিতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণকে বৈধ বলে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ সোমবার এক মাইলফলক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই নিয়ম সমাজে কোনও বৈষম্য তৈরি করছে না। এটি সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থীও নয় বলে মত শীর্ষ আদালতের।
প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে জানিয়েছেন,‘তপশিলি জাতির মানুষের মধ্যেও অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা আর্থিক ভাবে দুর্বল। কিন্তু নয়া সংরক্ষণ ব্যবস্থায় তপশিলি জাতির প্রতি অবিচার করা হবে।’
মূলত আরএসএসের চাপেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধান সংশোধন করে হতদরিদ্রদের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
সর্বোচ্চ আদালত এদিন জানায়, সমাজে পিছিয়ে পড়াদের ক্ষমতায়নের একটা মাধ্যম হল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। হত দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে তা সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনও ভাবে আঘাত করে না বা তা পরিপন্থী হতে পারে না। কারণ দেশের সংবিধান সমাজের কাউকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলে না। সবাইকে নিয়ে চলার কথাই বলে।
সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত-সহ পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেন। যদিও প্রধান বিচারপতি এই সংরক্ষণকে কোনভাবেই সমর্থন করেননি। অন্যদিকে এই সংরক্ষণের পক্ষে থাকা বিচারপতিদের দাবি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থারও পরিবর্তন আনা দরকার।