দেশ ব্রেকিং নিউজ

কেন্দ্র–টুইটারকে সুপ্রিম নোটিস

ভুয়ো মেসেজ নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী, উস্কানিমূলক এবং ভুয়ো মেসেজ আদানপ্রদান নিয়ে শীর্ষ আদালতের নোটিসের মুখে টুইটার ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে উস্কানি দেওয়া ভুয়ো খবর রুখতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। গুজব রোখার জন্য কেন্দ্র ও টুইটারকে ধরানো হল নোটিস। বিজেপি নেতা বিনীত গোয়েঙ্কার দায়ের করা পিটিশনের ভিত্তিতেই এই নোটিস।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন এএস বোপান্না ও ভি রমাসুভ্রামণ্যনের একটি বেঞ্চ ভুয়ো খবর রুখতে কেন্দ্র–টুইটারকে একটি নোটিস দেয়। যেখানে কড়া ভাষায় উল্লেখ রয়েছে, ‘‌বিভিন্ন হিংসা–দাঙ্গার শিকড় লুকিয়ে থাকে ভুয়ো খবরের মধ্যে। যার অন্যতম চলতি বছর দিল্লি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার ঘটনা। সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে অশান্তি ছড়ানো হয়েছিল। ভারতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টুইটার এবং ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন।’‌
একইসঙ্গে পিটিশনে বিনীত গোয়েঙ্কা উল্লেখ করেন, ভুল তথ্য ছাড়াও ফেসবুক, টুইটারে হাজার হাজার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এমনকী কোনও জনপ্রিয় ব্যক্তির নামে জাল অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়ো পোস্ট করা হয়। এতে ওই ব্যক্তির সুনাম নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। এমনকী ভোটের সময় রাজনৈতিক দলগুলির সোশ্যাল মিডিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত কাদা ছোঁড়াছুড়ি ও ভুয়ো পোস্টের কথাও তিনি উল্লেখ করেন পিটিশনে। এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই কোনওভাবেই যাতে ভুয়ো খবর না ছড়ায়, সেদিকে কেন্দ্র ও টুইটারকে কড়া নজরদারি চালাতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই সংসদে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ নিয়ে কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘‌আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে যথেষ্ট সম্মান করি। এই মঞ্চ সাধারণ মানুষের শক্তি। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকাও বিরাট। এই সোশ্যাল মিডিয়াকে যদি ফেক নিউজ ছড়ানো বা হিংসার জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’‌