ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

RG Kar কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি বাংলার মানুষকে আশাহত করেছে: সুকান্ত মজুমদার

সুপ্রিম কোর্টে RG Kar কাণ্ডে শুনানির প্রেক্ষিতে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর মতে, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর বাংলার মানুষ আশাহত হয়েছেন।

RG Kar কাণ্ডে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেই ছিল সারা দেশের মানুষের নজর। সোমবারের শুনানিতে বেশ কয়েকটি অবজার্ভেশন দেওয়া হয়। তার মধ্যে একটি ছিল যে, জুনিয়র চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে৷ না হলে ভবিষ্যতে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে।

এই বিষয় সোমবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে বা একটি সর্বভারতীয় দলের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমার পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে এইটুকুই বলতে পারি যে, বাংলার মানুষ অনেক ক্ষেত্রে আশাহত হয়েছে।”

মঙ্গলবার জুনিয়ার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয় তিনি বলেন, “কাজে যোগ দেবেন কিনা, সেটা তাঁদের বিষয়। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে কাজে ফিরতে৷ কিন্তু, ফিরতেই যে হবে সে রকম কোনও আদেশ দেয়নি। যদি জুনিয়ার চিকিৎসকরা পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেন। বিজেপি মনে করে যে পরিষেবা বিকৃত হওয়া উচিত নয়, পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন চলতে পারে।”

এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কোনও বিভ্রান্তিতে নেই। এই সরকারের পতন অনিবার্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন৷ তাই তিনি বারবার উৎসবে ফেরার কথা বলছেন। জনগণ উৎসব নয়, ‘শব’ নিয়ে চিন্তিত।”

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন সিআইএসএফ রাজ্যটাকে গ্রাস করার চেষ্টা করছে।সিআইএসএফ-কে কেন্দ্র সরকার লাগায়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতেই সিআইএসএফ মোতায়ন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় না দিলে সিআইএসএফ আসত না। তারা তো এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে আসছে না রাজ্যে। কেন্দ্র সরকারের আধা সামরিক বাহিনী। এই বাহিনী না এসে যদি পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের বাহিনী আসে, তাহলে কি উনি খুশি হতেন? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতির ।”

সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশকে স্বাগত জানায় বিজেপি। বাংলার মানুষও বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছে, কবে ভাইপো দিল্লি যাবে। বিজেপিও চায় যে, ইডি ভাইপোকে ডেকে তদন্ত করুক।”