পেগাসাস নিয়ে যে মিডিয়ার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তার সঠিক তথ্য খুঁজে বের করার জন্য কমিটি গঠন করতে চায় কেন্দ্র। আজ সুপ্রিম কোর্টের পেগাসাস সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই কথা জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। কীভাবে সেই কমিটি কাজ করবে তা জানতে চান বিচারপতি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে হলফনামা দেওয়ার কথা বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন বিচারপতি বলেন, ‘হলফনামা দিলে তবেই কেন্দ্রের জবাব স্পষ্ট হবে।’ মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
মামলা সংক্রান্ত আরও তথ্য কেন্দ্রের সামনে চাইলে তুলে ধরতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ কেন্দ্রের তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল জানান, যে মিডিয়া রিপোর্ট থেকে এই আড়িপাতার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে সেই মিডিয়ার রিপোর্ট স্পষ্ট নয়। সেই রিপোর্টে কি ভুল আছে বা কোনও মিথ্যা দাবি করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্যই কমিটি গঠন করতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে যে বার্তা পেশ করা হয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্য। আড়িপাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার পেগাসাস ব্যবহার করেছে কি-না তা স্পষ্ট জানাতে হবে হলফনামায়। যদি সরকার পেগাসাস ব্যবহার নাই করে থাকে তাহলে কমিটি গঠনের প্রশ্ন উঠছে কেন? তুষার মেহতা উল্লেখ করেন, ‘কপিল সিবালদের আমলেই তৈরি হয়েছিল সুন্দর একটি তথ্য ও প্রযুক্তি আইন। সেই আইনের বাইরে গিয়ে সরকার কাজ করবে কী ভাবে?’ জবাবে কপিল সিবাল বলেন, ‘এত বছরে যেভাবে কেন্দ্র সেই আইন ব্যবহার করছে তাতে, সেই সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি এনভি রামণ কেন্দ্রকে বলেন, ‘আপনাদের যা বলার আছে হলফনামায় বলুন। তবেই একটা স্পষ্ট ছবি সামনে আসবে। কিন্তু কমিটি কী কাজ করবে?’ তুষার মেহতা জানান, এই ইস্যু খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বিচারপতি বলেন, ‘দুটি ইস্যু নিয়ে কাজ করতে পারে সেই কমিটি। একটি বিষয় হল, সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, আর একটা ইস্যু হল অনুমোদন পাওয়া গেল কী ভাবে।’ তুষার মেহতা জানান, সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পেলে যে কমিটি তৈরি হবে, তাতে কোনও সরকারি আধিকারিক থাকবে না। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হবে।