নয়া তিন কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আইনগুলি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। এই কমিটিকে কৃষি আইনের বিভিন্ন দিক, গ্রাউন্ড রিয়েলিটি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কমিটিতে থাকবেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাতি, হরসিমরত মান, প্রমোদ যোশী। এখনই সুপ্রিম কোর্ট আইন বাতিলের পথে হাঁটতে চায় না।
বিতর্কিত তিনটি আইন বাতিলের দাবি তুলেছেন কৃষকরা। আর আইন বাতিল নয়, সংশোধনে আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে এগোচ্ছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনগুলিকে স্থগিত ঘোষণা করে। অর্থাৎ, এই আইন এখন কার্যকর করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র।
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মঙ্গলবার জানায়, কৃষি আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সমস্যার সমাধানই এক মাত্র লক্ষ্য। ফলে কেন্দ্রের পাশাপাশি কৃষকদের কথা শুনতেও কমিটি গঠন করা হবে। আইন বাতিল করে দেওয়া একটা বিকল্প হতেই পারে। কিন্তু বিনা কারণে বাতিল করা যায় না। তাই একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। যাঁরা যাঁরা এই কৃষি আইন নিয়ে সমস্যার সমাধানে সত্যিকারের আগ্রহী, তাঁরা সবাই কমিটির মুখোমুখি হবেন। কমিটি কাউকে শাস্তি দেবে না। আমাদের কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত মত চাই। আইনজীবীর মাধ্যমে কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্যকে তুলে ধরুন।
সুপ্রিম কোর্টের বার্তা খুব স্পষ্ট, সমস্যার আশু সমাধান চাই। এটা রাজনীতি নয়। তোমাদের সহযোগিতা করতে হবে। কৃষকদের এই বিক্ষোভে প্রবীণ, মহিলা ও শিশুদের যুক্ত না করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য কৃষকরা রামলীলা ময়দান বা অন্য কোনও স্থান বেছে নিক। অনুমতির জন্য দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা দরখাস্ত করুক।