এবার যৌন হয়রানি আদালতে। এমনই অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিচারবিভাগীয় এক মহিলা আধিকারিককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে মধ্যপ্রদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়েই শোরগোল। ওই মামলার তদন্তেই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, যৌন হয়রানির মামলাগুলিকে আমরা কার্পেটের নীচে ঢেকে রাখতে পারি না। জুনিয়র মহিলা বিচারবিভাগীয় অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশের ওই অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজকে রাজ্যের হাইকোর্টের নির্দেশে অভ্যন্তরীণ বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি হতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন একটি তিন সদস্যের বেঞ্চের শুনানিতে বলা হয়, ‘আপনি সূক্ষ্ম বরফের দিয়ে উপর হাঁটছেন। যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারেন। তদন্তে আপনার কাছে কোনও সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আপনি অভিযুক্ত।’
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব। তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে অভিযোগকারী মহিলা অফিসারকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলি পড়ে শোনান। ওই মেসেজগুলি পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রাক্তন জেলা বিচারক। তিনি বলেন, ‘একজন মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর (অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারক) আচরণ আরও যথাযথ হওয়া উচিত ছিল।’
এই মন্তব্যে সহমত প্রকাশ করে বেঞ্চ বলে, ‘একজন জুনিয়র অফিসারের সঙ্গে ফ্লার্ট করা কোনও বিচারকের পক্ষে গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়।’ আবেদনকারীর যুক্তি শোনার পরে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে তদন্তে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন বিচারকের আইনজীবী হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জানানো আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
