সোমবার কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে জোর ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। শুনানি যতটুকু এগিয়েছে, তার ভিত্তিতে এটুকু বলা চলে যে, কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। কারণ এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালত বিক্ষোভের কণ্ঠরোধ করতে পারে না। কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে আমরা হতাশ। আমরা সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান চাই।’
একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে জানায়, কৃষি আইন কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্র–কৃষক সংগঠনের মধ্যে যে বিবাদ চলছে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান চায় সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কৃষি আইন যেন এখন স্থগিত রাখা হয়। কৃষকদের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য সরকার যেন সময় নেয়। তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘আমরা গত শুনানিতে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু কোনও উত্তর নেই। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মানুষ আত্মহত্যা করেছে। বৃদ্ধ–মহিলারা কেন আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন?’
তবে আইন কার্যকর করার বিষয়ে স্থগিত রাখতে বলেছে আদালত। কেন্দ্রকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে বলেনি। সুপ্রিম কোর্ট কৃষক সংগঠনদেরও জানিয়েছে, আন্দোলন করার অধিকার তাদের আছে, তবে আন্দোলনের জন্য যে স্থানটি তারা বেছে নিয়েছে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তিনটি রাজ্যের জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। ফলে বিক্ষোভের জন্য তারা যেন অন্য কোনও জায়গা খুঁজে নেয়। এমনকী ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে কেন্দ্রের অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা কৃষি আইন কার্যকর বন্ধ করবেন, না কি আদালত আইন কার্যকর বন্ধ করবে?’
সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, তারা একটি কমিটি তৈরি করে দেবে। যেখানে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের সদস্যরাও থাকবেন। যতদিন না এই কমিটি তৈরি হয় এবং সেখানে বিষয়টি নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে না আসে ততদিন কেন্দ্র যেন কৃষি আইন চালু করা থেকে বিরত থাকে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘অনভিপ্রেত কিছু ঘটে গেলে আমরা প্রত্যেকে দায়বদ্ধ খাকব। আমরা আমাদের হাতে কোনও মতেই আঘাত বা রক্ত চাই না।’
