দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌আর কতদিন সংরক্ষণ চলবে’‌

চাকরি–শিক্ষার ক্ষেত্রে আর কত প্রজন্ম ধরে সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে?‌ সুপ্রিম কোর্ট এবার সরাসরি প্রশ্ন করে বসল। এদিন মারাঠা কোটা মামলার শুনানির সময় ভর্ৎসনা করে এমন প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চান বিচারপতিরা। ৫০ শতাংশ সীমা অপসারণ করা হলে পরিণামে বৈষম্য নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সংরক্ষণ নিয়ে এটি একটি উল্লেখযোগ্য শুনানি হয়ে ওঠে।
বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চকে, মহারাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, কোটার সীমা নির্ধারণের বিষয়ে মণ্ডলের রায়কে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন ছিল। রাজ্যগুলিতে সংরক্ষণের কোটা ঠিক করার জন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিবেচনা করা আদালতের উচিত এবং মণ্ডলের রায় ১৯৩১ সালের আদমসুমারিতে সংশোধন করা হয়েছিল। যা ভালভাবে নেয়নি আদালত।
মারাঠাদের কোটা দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্রের আইনের পক্ষে যুক্তি দেখান রোহাতগি। যা ইন্দ্র সাহনি মামলা হিসাবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘‌আর্থিকভাবে দুর্বল অংশের মানুষদের জন্য কেন্দ্রের ১০ শতাংশ কোটা দেওয়ার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তও ৫০ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমাকে লঙ্ঘন করেছে। তখন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘‌সেখানে যদি না ৫০ শতাংশ বা কোনও সীমা না থাকে, যেমন আপনি পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন সমতার ধারণাটা কী?‌ আমাদের শেষ পর্যন্ত এটা মোকাবেলা করতে হবে। না হলে পরিণামে যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে, তার কী হবে?’‌
এরপরই বেঞ্চ বলেছে, স্বাধীনতার পরে ৭০ বছর কেটে গিয়েছে। রাজ্যগুলি এতসব উপকারী পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে। তা হলে আমরা কী মেনে নিতে পারি যে কোনও উন্নয়ন হয়নি, কোনও পশ্চাৎপদ জাতি এগিয়ে যায়নি। এভাবেই দীর্ঘ সওয়াল–জবাবের পরেও মামলার শুনানি অমীমাংসিত থেকে যায়।