দেশ লিড নিউজ

রবিবারের নিট ঘিরে ব্যস্ত গোটা দেশ

লকডাউন উঠে গিয়েছে। বাংলা থেকে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে লকডাউন নেই। তবে ছুটির দিন রবিবার যেন সপ্তাহের মধ্যভাগের ব্যস্ততার আস্বাদন পেতে চলেছে। কারণ রাত পোহালেই বড় পরীক্ষা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৩ সেপ্টেম্বর, রবিবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল এলিজিবিলিট কাম এন্ট্রাস টেস্ট নেওয়া হবে। করোনা আবহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা ভেবে বেশকিছু নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
এই পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য বিরোধীরা এক হয়েছিলেন। ভার্চুয়াল সভা থেকে আওয়াজ উঠেছিল, সুপ্রিম কোর্ট চলো। কিন্তু তাতে কোনও লাভের লাভ হয়নি। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল বিরোধীদের। এই আওয়াজ অবশ্য প্রথম তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বলেছিলেন, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই এই উদ্যোগ।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক কিছুই বয়ে গিয়েছে। শনিবারের লকডাউন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু নিয়ম–বিধি মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর তোড়জোড়। সেখানে মাস্ক বাধ্যতামূলক। পরীক্ষার্থীরা গ্লাভস ও ফেস শিল্ড ব্যবহার করতে পারেন। আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হালকা ঢিলেঢালা জিন্স, টি–শার্ট, কুর্তি, সালোয়ার, লং স্কার্টের মতো পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরো পা ঢাকা জুতো পরা চলবে না। পরীক্ষার্থী চটি বা গোড়ালি খোলা পাতলা জুতো পরে আসতে পারবেন। ধর্মীয় কোনও অলংকার ছাড়া অন্য কোনও অলংকার পরা চলবে না। পাগড়ি, মাথার স্কার্ফ পরা যাবে। তবে প্রয়োজনে পরীক্ষা করা হতে পারে। হেডফোন, ব্লুটুথ, যে কোনও ঘড়ি পরার অনুমতি নেই।
আর কিছু নিয়ম মানতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। যথা— অ্যাডমিট কার্ড, ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম, সরকারি পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। পরীক্ষার্থী বিশেষভাবে সক্ষম হলে তার সার্টিফিকেট রাখতে হবে। বল পয়েন্ট পেন ব্যবহার করতে হবে। জলের স্বচ্ছ বোতল, স্যানিটাইজার রাখা যাবে। ব্যাগ, বই, স্টেশনারি কোনওরকম দ্রব্য পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে ঢোকা চলবে না। কিন্তু এক কপি রঙিন ছবি রাখতে হবে।