করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তারা ভাল কাজ করেছে। এবার সেই কাজের ফল ধরে রাখতে এখন থেকে সারা রাজ্যে প্রতি রবিবার বাধ্যতামূলকভাবে লকডাউনপালন করতে হবে। শনিবার এমনই নির্দেশ জারি করল কেরল। ফলে আজ রবিবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। এটা খানিকটা পরীক্ষামূলকও বলা হচ্ছে। কারণ কেরলে এখন প্রায় সবকিছুই খুলে গিয়েছে। ফলে সংক্রমণ আর ছড়িয়ে পড়ছে কিনা তা দেখতেই সপ্তাহে একদিন করে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই লকডাউন পালন করার উদ্দেশ্য হল কোভিড–১৯ সংক্রমণ আটকানো, জীবনের মান উন্নয়ন করা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, রাজ্যের পরিবেশ ও সবুজ রক্ষা করা। রাজ্যের মুখ্যসচিব টম জোস এই মর্মে এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া পর্যন্ত প্রতি রবিবার লকডাউন পালনের নির্দেশ কার্যকর থাকবে। এখন প্রশ্ন প্রতি রবিবার কোন কোন ক্ষেত্র ছাড়ের আওতায় পড়বে।
কেরল প্রশাসন সূত্রে খবর, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা যাবে, দুধ সংগ্রহ ও বিতরণ/বিক্রি করা যাবে, সংবাদপত্র, সংবাদ মাধ্যম, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, মেডিক্যাল ল্যাব এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে। এছাড়া বিয়ে আর শেষকৃত্য ছাড়া কোনও সামাজিক সমাবেশ নয়, করোনা ঠেকিয়ে রাখার কাজে জড়িত সব কিছু চালু রাখা, পণ্যবাহী গাড়ি চালু রাখা, বর্জ্য সাফাইয়ের কাজে জড়িত সমস্ত এজেন্সির কাজ চালু রাখা, চালু সমস্ত নির্মাণকাজ এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা সব উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের কাজ অব্যাহত থাকবে। অনলাইন ডেলিভারির সঙ্গে হাঁটা এবং সাইকেল চালানোয় অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইমারজেন্সি থাকলে, সরকারি চাকুরেদের ইমারজেন্সি ডিউটি থাকলে, কোভিড–১৯ ঠেকানোর কাজে যাঁরা জড়িত এবং উপাসনাস্থলে উপাসনা পরিচালনা করার কাজে জড়িত পুরোহিত, ধর্মীয় ব্যক্তিদের এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।