প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফরের পরই আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখাল ভারতীয় বায়ুসেনা। কখনও সুখোই, কখনও অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, কখনও মিগ–২৯, কখনও আবার চিনুক। লাদাখের ফরওয়ার্ড এয়ারবেসে ওঠানামা করছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। শুক্রবার লাদাখে সেনার ফরওয়ার্ড পোস্টে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেনার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমি এবং গোটা দেশ আছে আপনাদের পাশে। শ্রীকৃষ্ণের বংশীধারী রূপের পুজো হয় এই দেশে, আমার সুদর্শনধারী কৃষ্ণও আদর্শ। তারপরই ভারত–চিন সীমান্তের আকাশে নিয়মিত টহল দিচ্ছে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান।
তীব্র গর্জনে সারারাত হুংকার দেওয়া হল চিনকে। লাল ফৌজের কানেও গিয়েছে সেই গর্জন। আর এক পা এগোলে চরম মাশুল যে গুনতে হবে, সে বার্তা চিনের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এই বার্তাই দিতে চেয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ফাইটার জেটের পাশাপাশি সমরাস্ত্র বহনকারী বিমানও ওঠানামা করছে ফরওয়ার্ড এয়ারবেসে। আমেরিকার সি–১৭, সি–১৩০জে, রুশ বিমান ইলুশিন–৭৬ এবং আন্তোনভ–৩২ নিয়মিত যাতায়াত করছেন সেনা জওয়ানরা। পৌঁছে যাচ্ছে রসদও।
গলওয়ান উপত্যকায় একের পর এক যুদ্ধবিমান নামাতে শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি দু’দিনের সফরে গিয়ে লেহ ও শ্রীনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি ঘুরে দেখেছেন বায়ুসেনা প্রধান কে এস ভাদুরিয়া। প্রস্তুতিও তিনি খতিয়ে দেখেন। তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনার কম্যান্ডারদের। ফরওয়ার্ড বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে চূড়ান্ত প্রস্তুত সেরে রেখেছে বায়ুসেনা।