দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে এবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ১২ তারিখ অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য পেশের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন দীনেশকে বলতে দেওয়া হল? চিঠিতে এই প্রশ্ন তুলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়। এমনকী তালিকায় নাম ছিল না, তার পরেও কীভাবে রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী? প্রশ্ন তুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের মু্খ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়। তাছাড়া এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত শুক্রবার রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল সাংসদ বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন, ‘আমার রাজ্যে হিংসা হচ্ছে। কিন্তু এখানে কিছুই বলতে পারছি না। আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, কাজ করতে পারছি না। তবে আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার আত্মা বলছে, এখানে থেকে যদি কিছুই করতে না পারি, তাহলে এই পদ ছেড়ে দেওয়াই উচিত।’ এরপরই তিনি তৃণমূল এবং রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দেন।
দীনেশ ত্রিবেদী যে আবহে তাঁর ইস্তফা দিয়েছেন, সেটি নিছকই ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুখেন্দুশেখর রায় চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘বাজেটের উপর আলোচনার জন্য তৃণমূলের দু’জনের নাম নির্ধারিত ছিল। তাঁদের বলার পর দলের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যায়। তারপরেও দীনেশ কী করে বক্তব্যের অনুমতি পেলেন?’
তৃণমূলের সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী স্পষ্ট জানান, তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। ফলে তৃণমূলের অন্যান্য দলত্যাগী নেতাদের মতো দল ছাড়ার পর তিনিও বিজেপির পথে পা বাড়াচ্ছেন কি না, তা নিয়েও তুমুল জল্পনা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। রাজ্যসভার ইতিহাসে এই ঘটনা ‘অভূতপূর্ব’। নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।