মঙ্গলবার সকালে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। কিন্তু টানা ১১ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বয়ানে অসংগতি মেলায় এবং তথ্য গোপন করার চেষ্টা করায় তাকে গ্রেফতার করল ইডি আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকালে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেই মতো সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন সুজয়। এই প্রথমবার ইডি দফতরে গেলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।জানা গিয়েছিল, প্রচুর নথি নাকি নিয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, সেই নথির ভিত্তিতেই কালীঘাটের কাকুকে তলব করা হয়েছিল ইডি দফতরে।কালীঘাটের কাকু পেশায় ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের কর্মচারী। তাঁর গ্রেফতারিতে বিজেপি-সহ বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে, ‘ভাইপোর চৌকাঠ পেরিয়ে গেল এজেন্সি।’
অভিষেক অবশ্য নিজামের জেরা পর্ব থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন তিনি কালীঘাটের কাকুকে চেনেন না। এদিকে কালীঘাটের কাকু গোটা সংবাদমাধ্যমকে রাষ্ট্র করেছিলেন এই বলে যে, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সাহেব। ওই দিনই নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সুজয় এক সময় অভিষেকের অফিসে কাজ করতেন। অভিষেক অবশ্য নিজামের জেরা পর্ব থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন তিনি কালীঘাটের কাকুকে চেনেন না।