রাজ্য

সুজন–ঋতব্রত সংলাপে তপ্ত রাজনীতি

একটা ছবি। আর তার জেরে বাকযুদ্ধে সিপিএমের বর্তমান–প্রাক্তন নেতারা। যুযুধান দু’‌পক্ষই একে অন্যকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। আর তাতেই জমে গেল রাজ্য–রাজনীতি। ঠিক কী ঘটেছে?‌ মাইক্রোসফটের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ৬৪ শতাংশ মানুষ ভুয়ো খবরের শিকার। এমনকী গোটা বিশ্বের মধ্যে এই দেশেই সবচেয়ে বেশি ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়। এবার একই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমকে একহাত নিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় বাম পরিষদীয় নেতা ডাঃ সুজন চক্রবর্তী। সিপিএম বিধায়কের একটি টুইটকে হাতিয়ার করেই বাম নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ঋতব্রত। আর তা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃষ্টিতে বেহাল এক রাস্তার ছবি টুইট করেন সুজন চক্রবর্তী। ছবিতে রাস্তাজুড়ে ছোট–বড় গর্ত দেখা যাচ্ছে। তাতে বৃষ্টির জল ভরে গিয়েছে। ওই গর্তই অনেকটা ভারতের মানচিত্রের মতো দেখতে লাগছে। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, সবেতেই বাংলার অবস্থা করুণ। জরাজীর্ণ রাস্তার অবস্থা। এখানেই থেমে না থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করে বাম নেতার প্রশ্ন, ভারতের মানচিত্রের আদলে রাস্তার গর্তই তার সাক্ষী। তাই নয় কি?
সুজনের এই টুইটের পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‌লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার সিপিএম কর্মীরা যে বিজেপি’‌র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তবে আপনিও বিজেপি নেতাদের মতো অসত্য খবর এবং ভুয়ো তথ্য ছড়াবেন, এটা আশা করিনি। অত্যন্ত আশাহত হলাম।’‌ সুজন চক্রবর্তীর টুইট যে ভুয়ো তা প্রমাণ করতে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রার একটি টুইট শেয়ার করেছেন ঋতব্রত। দু’‌বছর পুরনো ওই টুইটে একই ছবি পোস্ট করেছিলেন মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান। সেই টুইট থেকেই ছবিটি যে মহারাষ্ট্রের ঠাণে জেলার তা জানা যাচ্ছে। সুতরাং সুজনবাবু জেনে ভুল করলেও ব্যাকফুটে গেলেন, আবার না জেনে করে থাকলে অজ্ঞতার জন্য ব্যাকফুটে গেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘বামেদের এই অবস্থা হবে আশা করিনি। বিজেপি’‌র থেকে তথ্য নিয়ে প্রচার করছে সিপিএম। বিজেপি থেকে বলা হয়েছে বলে টুইট কিনা জানি না তবে ওঁর মতো তাত্ত্বিক নেতার উচিত, খোঁজখবর নিয়েই টুইট করা।’ এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আজও অজ্ঞ সিপিএমের পক্ক কেশধারীরা।