অবসাদে আত্মঘাতী মহিলা চিকিৎসক। রবিবার হরিদেবপুরে নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করেন তিনি। তাঁর বিছানার পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের ধারনা, গত কয়েক মাস ধরে অবসাদে ভুগছিলেন ওই চিকিৎসক। সেই অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা নাকি অন্য কোন কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ডায়মন্ড সিটি সাউথের তিন নম্বর টাওয়ারে ১৪ তলা থেকে উদ্ধার হয় এক ডাক্তারের ঝুলন্ত দেহ। ডাক্তারের নাম দেবিকা চট্টোপাধ্যায় । কোঠারি হসপিটালের ডাক্তার ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক। ডিভোর্সের কারণে নিজের বাবা মার সঙ্গে থাকতেন তিনি।
এদিন ভোর বেলায় বাবা মা যখন দরজা ধাক্কায় তখন দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় দেবিকা চট্টোপাধ্যায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাকে হসপিটালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। তবে সুইসাইড নোটে কাউকে দায়ী করে যাননি তিনি।
প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দেবিকা। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।