Detectives have learned that Jaish-e Mohammed,a Pakistani-backed militant group, has planned a suicide attack on various Indian military bases on May 11.
দেশ ব্রেকিং নিউজ

আগামী ১১ মে হামলার ছক জৈশের

একইদিনে একাধিক আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ–ই–মহম্মদ। গোয়েন্দারা জৈশের এই মারাত্মক পরিকল্পনার কথা ফাঁস করে দিয়েছে। আর নিরাপত্তা বাহিনীকে ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে। জঙ্গিদের এই ছক জানতে পেরে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, হামলার জন্য ১১ মে দিনটিকে বেছে নিয়েছে জৈশ–ই–মহম্মদ। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে আত্মঘাতী হামলার ছক সাজিয়েছে জৈশ। শুধু এপ্রিলেই ২৮ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে জম্মু–কাশ্মীরের কাউন্টার–টেরর টিম। তার জেরেই উপত্যকায় একাধিক আত্মঘাতী হামলার ঘুঁটি সাজাচ্ছে জৈশ। এই তত্‍‌পরতার কারণেই সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিককে সমন পাঠিয়েছিল পাকিস্তান।
এদিকে ইসলামাবাদ দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনীর গোলাগুলিতে ২৯ নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আর্জিও জানিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের ওই সমনের পরেই ভারত নড়েচড়ে বসেছে। কাশ্মীরজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। জৈশ–ই–মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুজ আজহার গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘদিন অসুস্থতার কারণেই মাসুদ নিজে নিষ্ক্রিয়। তার ছোট ভাই মুফতি আব্দুল রউফ আসগরই এখন জৈশের সংগঠন চালাচ্ছে। কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে আব্দুল রউফই যুক্ত রয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গোটা চক্রান্তের পেছনে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এসআই। তারা জৈশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হামলার ছক কষেছে। ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে রাওলপিণ্ডিতে ইতিমধ্যেই মুফতি আব্দুল রউফ আসগরের সঙ্গে আইএসআই কর্তাদের গোপন বৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকেই ১১ মে দিনটিকে হামলার জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই কারণে ইতিমধ্যে ৩০ জন জঙ্গি কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে। ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একমাসে বড় সংখ্যক জঙ্গি মারাও পড়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতেই কাশ্মীরের হান্দওয়াড়ায় বিপুল সংখ্যক জঙ্গির হদিশ পেয়েছে ভারতীয় বাহিনী। হান্দওয়াড়ার একাধিক বাড়িতে ওই জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে রয়েছে জঙ্গিরা। পালানোর যাবতীয় পথ বন্ধ হয়ে পড়ায় জোর গোলাগুলি চলে। তাতে যৌথবাহিনীর পাঁচজন শহিদ হন।