এবার নেত্রীর কাছের কেষ্টর বিষনজরে পড়লেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি। জনসংযোগ করতে মাঠে–ময়দানে প্রচার করে বেড়ানোই তাঁর হাতিয়ার। একেবারেই সময় নষ্ট করতে চান না তিনি। হ্যাঁ, তিনি হলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে। তাই এই করোনার আবহেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। বীরভূমের সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলের মাঠে সামাজিক দূরত্ব মেনে সভা করেন অনুব্রত। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে চরম আক্রমণ করেন তিনি।
এই ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দুষলেন অনুব্রত। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করতে। পাঁচ দিন সবরকম ট্রেন চালিয়ে লকডাউন করতে। যাতে অন্য রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেন। তাতে করোনা বাড়ত না। কিন্তু মাথামোটা প্রধানমন্ত্রী কথাটা শুনলেন না। আর ভারতবর্ষকে শেষ করে দিলেন।’
এখানেই শেষ নয়, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, কয়েকদিন আগে অমিত শাহ ঘোষণা করলেন আমরা পশ্চিমবঙ্গকে ১১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কাদের দেওয়ার জন্য বলল? সাধারণ মানুষ, গরীব মানুষ সবার জন্য। আচ্ছা একটা কথা আপনারা বলুন তো, ১১ হাজার কোটি টাকা যদি ৯ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে দিয়ে থাকে তাহলে এক একটা লোক ১২০০ টাকা করে পেয়েছেন। কারোর অ্যাকাউন্টে ১২০০ টাকা করে ঢুকেছে? একজন দাঁড়িয়ে বলুন যে ১২০০ টাকা ঢুকেছে। মিথ্যে কথা বলে চলে গেলেন।