আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই পেট তা হজম করিয়ে সেখান থেকে অন্যান্য অঙ্গে পুষ্টি সঞ্চালন করে। প্রাথমিক পর্যায়ে পেটের ক্যানসার বা অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সারের উপসর্গ অস্পষ্ট হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে খিদে কমে যায়, রক্তবমি, পেট ব্যথা ও ফুলে যাওয়া, মল ত্যাগের সময় রক্তপাত, অকারণে ওজন কমে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বতর্মানে দেখা যাচ্ছে অত্যধিক খাসির মাংস খাওয়া পেটের ক্যান্সারের একটি মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ধূমপান, মদ্যপান, অনেকক্ষণ পেট খালি রাখলেও এই ক্যানসার হতে পারে। তাই পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে খুব বেশি করে সবুজ শাকসবজি, জল খাওয়া উচিত। গ্যাস্ট্রাইটিস দীর্ঘদিন বিনা চিকিৎসায় রেখে দিলে পেটে হেলিকোবেক্টার পাইলরি নামের এক ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে। যা পাকস্থলীর ক্যানসারের অন্যতম কারণ। পেটের ক্যানসার দ্রুত বুকে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাই বেশি এবং বুকে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার অর্থ সেটি ক্যানসারের শেষ পর্যায়। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রথম ও মাঝামাঝি পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে অপারেশনের মাধ্যমে তা নিরাময় সম্ভব। কিছু ক্যান্সারে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লেও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব তবে সংখ্যাটা খুবই কম।
বর্তমানে ল্যাপারোস্কোপিক বা মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সূক্ষ্ম ও স্বচ্ছভাবে দেখা যায়। এতে পেটে ক্ষত কম হওয়ায় রক্তপাত কম হয়। ব্যথা কম অনুভূত হয়। তাই রোগী দ্রুত সুস্থ হয় ও রোগীর কর্মক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়ে না। তবে অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সারের মৃত্যুভয় তেমন থাকে না। ডাক্তারি পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকলেই এই রোগ সম্পূর্ণ নিরময় সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।