শহর জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষবরণের কাউন্টডাউন। পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ-পাব, শহরের অলিগলি সবই সেজে উঠছে। বর্ষশেষের দিন বা বর্ষবরণের দিন যাতে কোনও দুর্ঘটনা না হয় সেজন্যই কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বর্ষবরণে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মদ্যপ ব্যক্তিদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে হোটেল মালিক সংগঠন। প্রতিবছরই ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শহর কলকাতার পানশালা-রেস্তোরাঁতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। বাড়তি নজরদারি থাকা সত্ত্বেও ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশদের। তাই এবার আগেভাগেই সতর্ক করতে শহর-শহরতলির সমস্ত বার, রেস্তোরাঁকে নোটিস পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংগঠণ। বর্ষবরণে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে রবি ও সোমবার মহানগরীতে মোতায়েন করা হচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অতিরিক্ত প্রায় ৫০০০ পুলিশকর্মী পথে নামাতে চলেছে লালবাজার।
৩১ তারিখ রাতে পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, নিউ মার্কেট চত্বরের ভিড় সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো এবং হোটেলের লগবুকে নাম এং পরিচয়পত্রের উল্লেখ বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর,১ জানুয়ারিতে শহরে মোতায়েন থাকছে ২৩০০ পুলিশ। যানজট রুখতে পার্ক স্ট্রিটকে ‘নো পার্কিং জোন’ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে,‘ওয়ান ওয়ে’ গাড়ি চলবে। বাইক এবং গাড়ি রাসেল স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটে গিয়ে পার্কিং করতে হবে। পার্ক স্ট্রিটের জন্যর আলাদা করে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। মোট ৬টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে পার্ক স্ট্রিটকে। গোটা পরিস্থিতির নজরদারিতে থাকবেন ১১ জন ডিসি। ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে। থাকছে ড্রোনের ব্যবস্থাও। আগত মানুষদের সহায়তার জন্য থাকছে ১৫টি পুলিশ অ্যারসিস্ট্যান্ট বুথ। ৯৭ পয়েন্টে নাকা চেকিং থাকছে। ২০টি মোটর সাইকেলে করে পুলিশ টহলদারি চালাবে। ৫৮টি পিসিআর ভ্যানের মধ্যে ২৩টিই থাকবে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে। পাশাপাশি থাকছে ৭টি অ্যাম্বুল্যান্সও।