রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এই জন্য রাজ্য সরকার দুর্গা পুজোর আগেই ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবে। একইসাথে সবাইকে নিয়োগের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ এর বাসভবন ঘেরাও আন্দোলনের পর সাংবাদিকদের এই কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। সেই সাথে তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার আন্দোলন নয়, আলোচনায় বিশ্বাসী। আর এরপরেও যদি আন্দোলন হয় তাহলে শিক্ষামন্ত্রী কোন সহযোগিতা করতে পারবেন না।
২০২১ সালের টেট ওয়ান ও টেট টু উত্তীর্ণদের একসাথে নিয়োগের দাবিতে যে আন্দোলন তা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সংশ্লিষ্ট দাবিতে টেট উত্তীর্ণরা শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথের রাজধানীস্থিত বাসভবন ঘেরাও করে। তাদের দাবি, টেট উত্তীর্ণ সবাইকে একসাথে নিয়োগ করতে হবে। কারণ হিসেবে তাদের বক্তব্য, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এককালীন ছাড় দিয়েছিল ১২,২২২ টি পদে। এর মধ্যে নিয়োগ হয়েছে মাত্র ১১৯৪ জন। বাকি রয়েছে ১১ হাজার ২৮ টি শূন্য পদ। তাছাড়া রাজ্যের বিদ্যালয় গুলিতে রয়েছে শিক্ষক সংকট। শিক্ষকের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধে সামিল হচ্ছে।
এদিন প্রশাসনকে চমকে দিয়ে টেট উত্তীর্ণরা শয়ে শয়ে রাজধানীস্থিত শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে পুলিশ এবং অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু টেট উত্তীর্ণরা গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের ফেরাও আন্দোলন জারি রাখে। ক্রমাগত স্লোগান উঠতে থাকে টেট উত্তীর্ণদের একসাথে নিয়োগ করতে হবে।
অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ঘেরাও আন্দোলনরত টেট উত্তীর্ণদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠান শিক্ষামন্ত্রী। আহবানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনরত টেট উত্তীর্ণদের এক প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের সাথে সাক্ষাৎ করে।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন স্বীকার করেছেন, রাজ্যের বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবে টেট উত্তীর্ণদের সবাইকে একসাথে নিয়োগ যে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে এও জানান, দুর্গা পুজোর আগেই ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য বিজ্ঞমহলের মতে, টেট উত্তীর্ণরা সরকারি কর্মসংস্থানের জন্য গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি জারি রাখতেই পারে। কিন্তু ত্রিপুরার রাজধানীর নাভি কেন্দ্রে অবস্থিত শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি আচমকায় ঘেরাও করবে, আর এই নিয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে কোন খবর থাকবে না; বা সংশ্লিষ্ট ঘেরাও আন্দোলন সামাল দেবার জন্য কোন প্রস্তুতি থাকবে না পুলিশের, এ কেমন কথা! তাহলে কি রাজ্য পুলিশের কর্তারা গভীর নিদ্রায় মগ্ন। এই গুঞ্জন এখন সর্বত্র।