আন্তর্জাতিক

কিমের দেশে জারি জরুরী অবস্থা!‌

গর্ব এখন ধুলোয় মিশেছে। তাই রেগে ফায়ার তিনি। হ্যাঁ, তিনি উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারি শাসক কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের দাবি ছিল, দেশে একজনও কোভিড পজিটিভ রোগীর সন্ধান মেলেনি। করোনা মোকাবিলায় দেশ গোটা বিশ্বের সামনে নজির তৈরি করেছে এই দেশ। তবে তা আর ধোপে টিকল না। কারণ উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কেসাংয়ে জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে রবিবার। সেখানে করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন শনিবার জরুরি পলিটব্যুরো বৈঠক করেছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্কতা জারি এবং জরুরি অবস্থা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। করোনা ধরা পড়লে ওই ব্যক্তিই উত্তর কোরিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত প্রথম রোগী হিসেবে শনাক্ত হবেন। মহামারী রোধের জন্য দেশটির স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।
জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন রোগী তিন বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়া চলে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯ জুলাই ফিরে এসেছেন উত্তরে। সীমান্ত পার হয়ে কারও যাওয়ার তথ্য নেই বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। করোনা উপসর্গ থাকায় ওই ব্যক্তিকে কোয়ারেনটিনে রাখা হয়েছে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির আশঙ্কা ব্যক্তির পরিস্থিতি বিপজ্জনক বলে জানানো হয়েছে। সরকারি গণমাধ্যমের খবর, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন ভয়ংকর এই ভাইরাস দেশে ঢুকে পড়েছে। কেসাং শহর পুরোপুরি অবরুদ্ধ করতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কড়া নজরদারিতে থাকা সীমান্ত তিনি অবৈধভাবে পার করেছেন বলে অভিযোগ। তাই এখন কিম ক্ষেপে ফায়ার। তিনি আর রোল মডেল হতে পারলেন না।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসেই পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় দিনে ৪০ থেকে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ অন্য দেশ থেকে আসা। আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের বিশ্লেষক গো মিয়ং হিউন বলেন, ‘‌চিন থেকে উত্তর কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটেছে।’‌ আর এই ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া কিমের রোষানলে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।