কলকাতা ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

সন্দীপকে শোকজ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের! সাসপেন্ডেড অভীক-বিরূপাক্ষ

RG Kar হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত সোমবারই গ্রেফতার হয়েছেন আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। গ্রেফতারির পরেই RG Kar -এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সাধারণ সদস্যপদ খারিজ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন। সেইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। কেন তাঁর ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না? এবার এই প্রশ্ন তুলে সন্দীপকে শোকজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

জানা গিয়েছে, তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে যতদিন পর্যন্ত RG Kar হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ক্লিনচিট না পান। সন্দীপের পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-কেও। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল শনিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত কাউন্সিলের কোনও মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না তাঁরা। কাউন্সিলের তরফে শুক্রবারই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে শোকজ়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, RG Kar হাসপাতালে কর্বব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরই হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। RG Kar হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আরজিকর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে ED-CBI। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই RG Kar -এ দুর্নীতির তদন্তে এফআইআর করে CBI। জোরকদমে শুরু হয় তল্লাশি। সেই সূত্রেই আদালতের নির্দেশে শহরজুড়ে অভিযানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI -এর আধিকারিকরা।

অভিযোগ, স্বাস্থ্যভবন ও কলেজ কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই ফুড স্টল, কাফে, ক্যান্টিন, সুলভ কমপ্লেক্স তৈরির জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়। তিনজন বিশেষ ব্যবসায়ীই এই প্রত্যেকটি ‘বেআইনি’ টেন্ডার পান। তাঁদের একেকজনকে কয়েক কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়। ফিনান্স ও অ্যাকাউন্ট অফিসারদের কিছু না জানিয়েই এই বরাতগুলি দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কাজ করানো হয় পূর্ত দফতরকে না জানিয়েই। ডাক্তারি শিক্ষার তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, পুরসভার বদলে হাসপাতালের কর্তারা পার্কিং থেকে টাকা আদায় করে তা সরিয়ে দেন। চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। এমনকী একদিন অন্তর হাসপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে কয়েকশো বর্জ্য বের হতো। তাতেও নাকি দুর্নীতি করতেন সন্দীপ! অভিযোগ, তাতে যুক্ত ছিলেন দু’জন বাংলাদেশিও।