পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা ছিল আগেই। রাজ্য সরকার প্রতিবছরের মতো রেড রোডে দুর্গা ‘পুজোর কার্নিভ্যাল’ আয়োজনের কথা ঘোষণা করে। অন্যদিকে RG Kar হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস ঘোষণা করে, তারা ‘দ্রোহের কার্নিভ্যাল’ আয়োজন করবে। বিরোধ ও বাধার মুখে বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় চিকিৎসকদের প্রতিবাদী এ আয়োজন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের পূর্বঘোষিত ‘দ্রোহের কার্নিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয় বিকেল ৪ টেয় রানী রাসমণি অ্যাভিনিউতে। কিন্তু এই আয়োজন বন্ধ করতে ওই এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা।
রানী রাসমণি অ্যাভিনিউতে লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। যাতে ওই এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে না পারেন। শেষমেষ চিকিৎসকেরা শরণাপন্ন হন কলকাতা হাইকোর্টের।
মঙ্গলবার বিচারপতি রবিকিশান কাপুরের এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে এ আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে কলকাতা পুলিশের ১৬৩ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয় আদালত। অনুমতি দেওয়া হয় চিকিৎসকদের প্রতিবাদী ‘দ্রোহের কার্নিভ্যাল’ আয়োজনের।
হাইকোর্টের আদেশের পর রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয় ‘দ্রোহের কার্নিভ্যাল’। রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে ধর্মতলা—লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ মানুষ। মিছিলে ফের স্লোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।