দেশ লিড নিউজ

আইপিএস ডেপুটেশন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য

আইপিএস ডেপুটেশন নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত এবার গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। মামলাটি যদি গ্রহণ করা হয়, তাহলে কী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট, সেদিকেই নজর সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ, পরবর্তীকাল যদি ফের এমন সংঘাত তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে আদালতকে রায়কেই নজির হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার যদিও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাজের বিপুল চাপ, এত দ্রুত প্রশাসন এবং পুলিশের দুই শীর্ষ আমলাকে দিল্লি পাঠানো সম্ভব নয়। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।
রাজ্যে কর্মরত তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠী ও ভোলানাথ পাণ্ডেকে যখন কেন্দ্রের ডেপুটেশনে ডেকে পাঠানো হয়, তখনই এই সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলে রাজ্য। জানানো হয়, রাজ্যে আইপিএস ও আইএএস অফিসারের সংখ্যা কম। তাই কেন্দ্র চাইলেও ওই তিন অফিসারকে রিলিজ করা হবে না। কেন্দ্রের পাল্টা যুক্তি, রাজ্যের আপত্তি থাকলেও আইপিএসদের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশন পাঠানো বা বদলি করা যায়। বস্তুত স্রেফ মুখের কথাই নয়, নবান্নের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই বৃহস্পতিরার রাজ্যে কর্মরত তিন পুলিশ আধিকারিককে নয়া পোস্টিংও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নির্দেশ মতো এদিনই রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠী ও ভোলানাথ পাণ্ডের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার আগের অবস্থানেই অনড়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার চিঠি এসে পৌঁছয় নবান্নে। তাতে লেখা, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে এই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র যেন নর্থ ব্লকে গিয়ে দেখা করেন। চিঠির জবাবে নবান্ন জানিয়ে দেয়, এখানে প্রচুর কাজের চাপ। এছাড়া করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও আছে। তাই দুই শীর্ষ আমলাকে এত তড়িঘড়ি দিল্লিতে পাঠানো যাবে না।
উল্লেখ্য, কিন্তুই এই প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। তাই অমিত শাহর রাজ্য সফরের ঠিক আগের মুহূর্তেই ফের তাঁদের তলব করা হল। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেখান থেকে রায় নিয়েই কেন্দ্রকে জবাব দিতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার এই কেন্দ্র–রাজ্য দ্বৈরথে কোনদিকে জল গড়ায় এখন সেটাই দেখার।