এবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে সরাসরি আক্রমণ করল রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে ইউজিসি–কে কাঠগড়ায় তোলা হল। বন্ধ ট্রেন—বন্ধ ক্লাস। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এই প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ইউজিসি’র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে ধরল রাজ্য। আর তাতে বেশ বিপাকে পড়ল তারা।
এদিন সর্বোচ্চ আদালতকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যগুলির সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনও আলোচনাই করেনি ইউজিসি। রাজ্যগুলিই জানে আসল করোনা পরিস্থিতি। তাছাড়া প্রতিটা রাজ্যের জন্য একই নিয়মও যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ প্রত্যেকের করোনা পরিস্থিতি আলাদা। ইউজিসি’র কাজ দেখে মনে হচ্ছে এটা যেন ২০১৮–১৯। আমাদের জনগণের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলার শিক্ষক সংগঠনের আইনজীবীও এদিন তাঁর আর্জি পেশ করেন। সেখানে বলা হয়, ৬ জুলাইয়ের ইউজিসি গাইডলাইন অপরিবর্তনশীল নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা অযৌক্তিক। উল্লেখ্য, গতকালই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিট এবং জয়েন্ট নির্দিষ্ট সময়েই হবে। সেখানে ইউজিসি’র দেওয়া গাইডলাইনের বিরোধিতা করলেও আদালত কোন পথে হাঁটে তা দেখার বিষয়।
শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে নিজের কলেজে পরীক্ষা হয় না। অন্য কলেজে পরীক্ষার সিট পড়ে। সেখানে যেতেও তো ট্রেন–মেট্রো রেল ইত্যাদি পরিবহণ দরকার। সবই তো বন্ধ। পরীক্ষার্থীরা সেক্ষেত্রে যাতায়াত করবে কী করে? প্রত্যন্ত এলাকার কথা মনে করিয়ে বলা হয় বিভিন্ন স্কুল–কলেজ এখন আমপানের ত্রাণ শিবির। সেখানেও পরীক্ষা অসম্ভব। অনলাইন পরীক্ষাও অবাস্তব।
