দেশ লিড নিউজ

‘‌বিশ্বাস দিন সেবা করব’‌

দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারেরর শেষ বাজেট পেশ করতে গিয়ে কল্পতরু হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাজেট প্রস্তাবে মোট প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক নতুন প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
‘কৃষকবন্ধু’ বনাম ‘কিষাণ সম্মান নিধি’। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে উভয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও জোরকদমে। শুক্রবার ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে বরাদ্দ আরও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণার পাশাপাশি তিনি জানালেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ভাগচাষিরাও। ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হল। এই সুবিধা চলতি বছর জুন মাস থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যে যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়, তার জন্যকে কেন্দ্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ‘‌নেতাজি বলেছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। সেই কথার অনুকরণে বলি আপনারা আমাকে বিশ্বাস দিন আমি আপনাদের সেবা দেব।’‌ ফের অভিযোগ তুলে জানান, কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য পায়নি বাংলা। তা সত্বেও জনকল্যাণমূলক কাজে চলতি অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তবে বাংলার অন্তবর্তী বাজেটে পার্শ্বশিক্ষকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা। নেতাজি ব্যাটালিয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করলেন তিনি।
শুক্রবার শিক্ষকদের নবান্ন অভিয়ানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার। এই টানাপোড়েনের মাঝে শুক্রবার অন্তবর্তী বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্শ্ব শিক্ষকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে বলেন, প্রতি বছর ৩ শতাংশ হারে বাড়বে বেতন। জানান, অবসরের সময় এককালীন ৩ লক্ষ টাকা এক্স গ্রসিয়া পাবেন তাঁরা। অলচিকি হরফ পড়ানোর জন্য আরও ১৫০০ পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২০০টি স্কুলে রাজবংশী ভাষা পড়ানো হবে। মাদ্রাসার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন তিনি।
এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী অর্থবর্ষ থেকে প্রতিবছর দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হবে। যাতে তাঁদের পড়াশোনার সুবিধা হয়। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তরুণের স্বপ্ন’। করোনার কারণে প্রায় ১ বছর ধরে বন্ধ স্কুল। ক্লাস চলছে অনলাইনে। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাসকারী পড়ুয়াদের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ প্রত্যেকের কাছে স্মার্টফোন নেই। সেই কারণেই পড়ুয়াদের স্বার্থে মাস দেড়েক আগে দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব প্রদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এত ট্যাব জোগাড়ে সমস্যা হওয়ায় প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে প্রতিবছরই পড়ুয়ারা পাবে ট্যাব।