মন্ত্রী কন্যার সাধের চাকরি যাওয়ার পর, আর এক শিক্ষকের ডাক পড়েছে সিবিআইয়ের।
বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার শাড়াফুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর গ্রামের গণিতের শিক্ষক সিদ্দিক গাজী। ২০১৮ সালে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতার চাকরী পান, মুর্শিদাবাদে সলুয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে, গণিতের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন তিনি।
সম্প্রতি টেটের মস্ত বড় দূর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরি খুইয়েছেন মন্ত্রী কন্যা। একে একে সেই তালিকা বড় হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় নাম যোগ হল স্বরূপনগরের সিদ্দিক গাজীর। ২০০ জনের মেধা তালিকায় ২৭৫ নম্বর স্থান পান সিদ্দিক গাজী। তিনি চাকরি পেয়েছেন সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে। এদের মধ্য মেধা তালিকায় নাম ছিল অনুপ গুপ্তর। টেটের দুর্নীতি হয়েছে বুঝতে পেরে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। তারপর এই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতেই হাইকোর্টের নির্দেশে স্বরূপনগরের সিদ্দিক গাজীকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হয়।
গত বুধবার দুপুরে হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি নির্দেশ দেন সিদ্দিক গাজীকে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। তার বাবা আব্দুর রহমান গাজী বলেন, ‘ছেলে বাড়িতে নেই। ঘরে তালা মারা বেশ ক’দিন আগে কলকাতায় গিয়েছেন। পাশাপাশি বলেন আগে পিছে চাকরি হতে পারে। অবৈধভাবে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। SSC দপ্তর এবিষয়ে ভালো বলতে পারবে বলে বলেন তিনি।