আগ্রা থেকে পোখরান, দিল্লি থেকে পাকিস্তানের সিন্ধ—বিস্তীর্ণ অংশে ছড়ানো এক চর নেটওয়ার্কের সন্ধান মিলল ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যেই। এই নেটওয়ার্কের প্রধান দুই লিঙ্কম্যানের একজন আগ্রার সেনা ক্যান্টনমেন্টের ক্লার্ক। আগ্রায় বদলি হয়ে আসার আগে পরমজিৎ সিং নামের ওই সেনাকর্মীর কর্মস্থল ছিল রাজস্থানের পোখরানে। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় আর্মি ক্যাম্পে সবজি, মুদি দ্রব্য, খাদ্যপণ্য সাপ্লাই করার ঠিকাদার হবিবুর রহমানের। তার সঙ্গে ঠিকা চুক্তি একাধিকবার নবীকরণ করা হয়েছে। সুতরাং, উপরমহলে হবিবুরের যোগাযোগ স্পষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরবরাহ করে এসেছে আগ্রায় কর্মরত পরমজিৎ। হবিবুর সেই নথি পাচার করেছে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্টের হাতে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে দিল্লি থেকে সিন্ধ পর্যন্ত। সিন্ধে হবিবুরের এক আত্মীয় থাকে। সেখানে নিয়মিত যাতায়াতও রয়েছে তার। তখন তাকে পাকড়াও করে আইএসআই। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোখরান শিবিরের খাদ্য ও অন্য পণ্য সরবরাহের ঠিকাদার হওয়ার সুবাদে সেখানে হবিবুরের অবাধ যাতায়াত। সেখানেই পরমজিতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ওই সেনাকর্মীর বদলি হওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল নথি সরানোর কাজ। আগ্রায় চলে আসার পর উত্তর ভারতের বিভিন্ন আর্মি দপ্তরের গোপন সার্কুলার এবং অস্ত্র মুভমেন্ট সংক্রান্ত মেমো পাঠানোর কাজ করত পরমজিৎ। আর সেগুলি সে চালান করে দিত হবিবুর রহমানের কাছে।
কখনও হাতে হাতে দেওয়া হতো প্রিন্ট আউট। কার হাতে? সেটাই জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে নিয়মিত পোখরান যাতায়াত করা এক ব্যক্তির কথা জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিস। সে এই হবিবুর রহমানের হ্যান্ডলার বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাকি পাকিস্তানি, তা জানতেই তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।