কোভিড নেগেটিভ এসেছিল তাঁর। কিন্তু তার পরেও ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম। তাঁকে হাসপাতালে সর্বোচ্চ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। এস পি’র মৃত্যুর খবরে গোটা দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রায় একমাস পর ৮ সেপ্টেম্বর তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু ফুসফুসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা যায়নি। বুধবার রাতে থেকে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হতে শুরু করে। ফলে হাসপাতালের তরফে প্রকাশ করা হয় মেডিকেল বুলেটিন। মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হয়, এস পি বালসুব্রহ্মনিয়মকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। বুধবার রাত থেকে অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতেই তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল।
পরের দিকে তাঁকে ভেন্টিলেটরের পাশাপাশি ‘একমো সাপোর্ট’ (কৃত্রিম উপায়ে বাড়তি অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা) দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। করোনা থাবা বসিয়েছে শরীরে। আগস্টের প্রথমদিকে নিজের ফেসবুক পেজে এমন খবর নিজেই জানান বালসুব্রহ্মনিয়ম। তিনি লেখেন, তাঁর শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ফলে বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিনি। তবে এস পি’র ওই ঘোষণার পর আচমকাই তাঁর শরীর আরও বেশ খারাপ হতে শুরু করে। চেন্নাইয়ের হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিক্যাল ডিরেক্টর অনুরাধা ভাস্করনের স্বাক্ষরিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘২৪ ঘন্টায় ওঁর অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তিনি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁকে এখন সর্বোচ্চ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।’
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বালসুব্রহ্মনিয়মের প্লাজমাথেরাপি শুরু করে হাসপাতাল। এরপর থেকেই ক্রমশ তাঁর শরীরের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে বলে জানানো হয় হাসপাতালের তরফে। বালসুব্রহ্মনিয়মের জন্য প্রত্যেকে প্রার্থনা করুন বলে আবেদন করেন গায়কের ছেলে এস পি চরণ। এসপির সঙ্কটাপন্ন হওয়ার খবর পেয়েই হাসপাতালে গিয়েছিলেন দক্ষিণী ছবির প্রবীণ অভিনেতা কমল হাসন। প্রসঙ্গত, তামিল, তেলুগু এবং হিন্দি ছবিতে কমলের গলায় অজস্র হিট গান গেয়েছেন এসপি। বর্ষীয়ান গায়ক যাতে শিগগিরই সুস্থ হয়ে যান, সেই প্রার্থনা করেন সলমন খান। বালসুব্রহ্মনিয়মকে নিয়ে নিজের টউটার হ্যান্ডেলে টুইটও করেন সলমন। প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, এস পি বালসুব্রহ্মনিয়মের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। সঙ্গীত জগতের কাছে এটা একটা অপূরণীয় ক্ষতি। গোটা ভারতজুড়ে প্রায় বেশিরভাগ পরিবারের কাছেই ওঁর নাম পরিচিত। ওঁর সুরেলা কণ্ঠ এবং সংগীত কয়েক দশক ধরে শ্রোতাদের মোহিত করেছে। এই কঠিন সময়ে আমি ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওম শান্তি।
