জেলা

খড়দহ থেকে প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী

খড়দহ কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ভবানীপুরের পদত্যাগী বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল হাইকম্যান্ড থেকে তাঁর প্রার্থীপদ নিশ্চিত করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভবানীপুরে প্রার্থী হচ্ছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে শোভনদেব জানান, দলের নির্দেশে নেত্রীর জন্যই ভবানীপুর থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। আবার দলই বলেছে, তাই খড়দহের উপনির্বাচনে লড়াই করব। এদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
খড়দহ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা জিতলেও, করোনা আক্রান্ত হয়ে ফলপ্রকাশের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে সেখানে উপনির্বাচন। ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে গত সপ্তাহে শোভনদেব ইস্তফা দেওয়ার পর আরও একটি জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে হয়ত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। কিন্তু তিনি নিজে রাজ্য রাজনীতিতেই থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করায় তাঁকে খড়দহের প্রার্থী করা হয়েছে।
উপনির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিপর্যয়ের অভিঘাত থেকে দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলার কৃষি ও চাষি–দুইই বাঁচাতে নেমে পড়েছেন কৃষিমন্ত্রী। বাড়ি থেকেই দপ্তরের সচিব ও কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ফোনে বৈঠক করেন তিনি। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পেয়ে চারদিন আগে থেকেই যদিও চাষিদের দিয়ে মাঠের বোরো ধান ও তিল, পাট এবং ডাল তুলে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের কৃষি দপ্তর।
উল্সেখ্য, ঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি জেনে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এমনকী তিনি বলেন, ‘‌ঝড়ের দাপট শেষ হলেই ব্লকভিত্তিক ক্ষতির খতিয়ান নেওয়া হবে। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে অর্থ দপ্তরে পাঠাব। অনুমোদন করলেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।’