রাজ্য

দিলীপের টিমে ব্রাত্য শোভন–বৈশাখী

শোভন–বৈশাখী পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ডাল–ভাতের মতোই শোভন–বৈশাখী। একজন ছাড়া আর একজন কী থাকতে পারে?‌ তবে সিনিয়র লিডার সংগঠনের কাজে লাগবে। অথচ রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে গেলেও ঠাঁই হল না তাঁদের। তাহলে কী পদ্ম শিবিরে ব্রাত্য তাঁরা?‌ নাকি অন্য কোনও সমীকরণ আছে?‌ উঠছে প্রশ্ন। দীর্ঘ টালবাহানার পরে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করছেন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে নেই শোভন এবং বৈশাখীর নাম।
এখানে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল— পদাধিকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন মুখ স্থান পেয়েছে। সংগঠনে অনেকের দায়িত্ব বেড়েছে। আর পদাধিকারীদের কোনও তালিকায় নাম নেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কোনও শিকে ছেঁড়েনি। তবে সুকৌশলে নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুকে রাজ্য সহ–সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। যুব মোর্চার সভাপতি হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুলাল বরকে তফশিলি মোর্চার সভাপতি করা হয়েছে। তফশিলি উপজাতি মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব বাম থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া খগেন মুর্মুর হাতে তুলে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কিষাণ মোর্চার সভাপতি হয়েছেন মহাদেব সরকার। সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি পদে থেকে গেলেন আলি হোসেন। ওবিসি মোর্চার সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন নির্মল কর্মকার। সম্পাদকের পদে এসেছেন সব্যসাচী দত্ত। লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। আর অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষ সহ–সভাপতি হয়েছেন।