রাজ্য

শিখা মিত্রকে ফোন সোনিয়ার

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে ফোন করলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিজেপির প্রার্থীপদ প্রত্যাখ্যান করার জন্য শিখাদেবীকে ধন্যবাদ জানান সোনিয়া। যে ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এরপরই এদিন সরাসরি শিখা মিত্রকে ফোন করলেন সোনিয়া গান্ধী। সোমেন পত্নীর সঙ্গে প্রায় মিনিট ১৫ ফোনে কথা বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
এবার কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন প্রয়াত কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র। বৃহস্পতিবার কলকাতার চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছিল শিখা মিত্রের। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম দেখে বিস্মিত হন শিখা মিত্র। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন সোমেন জায়া। রোহন মিত্র বলেন, ‘‌২০১৪ সালে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন মা। কোনও পার্টির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন না। এটা ঠিক হল না। ৬ মাস আগে স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিল। তিনি বিজেপির হয়ে চৌরঙ্গিতে দাঁড়াবেন, এটা হতে পারে না!’‌
সূত্রের খবর, সোনিয়া শিখাকে বলেছেন, তালিকায় নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি যেভাবে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তার জন্য কংগ্রেসের তরফে শিখাদেবীকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে বলেও জানান সোনিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রীর ফোন পেয়ে স্পষ্টতই খুশি মিত্র পরিবার। তখনই রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী সম্পর্কে নিজের মান–অভিমান ও ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে শিখা মিত্র বলেন, রাজ্য কংগ্রেসে সোমেন মিত্রের অবদান এই রাজ‍্যের কংগ্রেসীরা জানেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সভাপতি প্রতি মুহূর্তে মিত্র পরিবারকে অপমান করছেন। তিনি ভুলে গিয়েছেন প্রয়াত সোমেন মিত্রর ছত্রছায়া না থাকলে তিনি নেতা হতে পারতেন না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রয়াত সোমেন মিত্রের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী শিখা ও পুত্র রোহনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই প্রদেশ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেসুরো শোনা গিয়েছিল রোহন মিত্রকে। তবে কখনওই বিজেপিতে যোগদানের কথা বলেননি তাঁরা। শিখা বলেছেন, আমি কংগ্রেস ঘরানার। বিজেপি একটা অন্য আদর্শের দল। কংগ্রেসের সঙ্গে যার আদর্শের কোনও মিল নেই। সপ্তাহখানেক আগে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে ছিলেন। রাজ্যে কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতি বিশদে জানিয়ে ছিলেন। সোনিয়া গান্ধী এদিন জানান, খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে ডাকবেন।