কঠিন সত্য। বিরলও বটে। যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় এমন ঘটনাই ঘটিয়ে ফেলল এক ‘গুণধর’ ছেলে। মাকে খুন করে তাঁরই চিতায় মুরগীর মাংস পুড়িয়ে খেল সে! হ্যাঁ, এমনই হাড়হিম করা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায়। পাড়ার মোড়ে মোড়ে এখন শুধু এই চর্চা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৬০ বছরের সুমি সোয়ের সঙ্গে প্রায়ই বচসায় জড়িয়ে পড়ত ছেলে প্রধান সোয়। ছেলের অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই অশান্তি ছিল সংসারে। সম্প্রতি সেই ঝগড়াই চরমে পৌঁছয়। মদ্যপ অবস্থায় ছেলেকে বাড়ি ফিরতে নিষেধ করেছিলেন সুমি সোয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে সে রাগের মাথায় হাতে একটি কাঠের পাটা তুলে নেয়। তা দিয়েই আঘাত করে মা সুমি সোয়কে। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। এই ঘটনা পুলিশের কাছ থেকে গোপন করতে দ্রুত বাড়ির উঠোনেই মায়ের চিতা সাজিয়ে ফেলে প্রধান। অভিযোগ, তারপর মায়ের চিতাতেই মুরগীর মাংস রোস্ট করে রসিয়ে খায় সে।
এমনকী সেই রাতে মায়ের শবদেহ পুরোপুরি পোড়াতে না পারায় পরের দিন সকালে উঠে আবার ‘শেষকৃত্যে’র ব্যবস্থা করে। স্টোভ জ্বালিয়ে শরীরের বাকি অংশ পোড়াতে শুরু করে প্রধান। তখনই বিষয়টি ধরে ফেলেন প্রধানের বোন। প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। অভিযুক্তকে ধরে পুলিশে খবর দেন তাঁরাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, নেশাগ্রস্ত হয়েই মাকে খুন করেছে ছেলে। প্রতিবেশীরা দাবি করেন, চিতায় মাংস রোস্ট করে খেয়েছিল অভিযুক্ত। যদিও তার সত্যতা যাচাই করার জন্য অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা ঠিক কখন কীভাবে ঘটল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নৃশংস ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই থমথমে গোটা এলাকা।