দেশ ব্রেকিং নিউজ

সোমেনের পরিবার বিজেপিতে!‌

দলবদলের রাজনীতির মধ্যেই এবার জল্পনা তৈরি হল কংগ্রেসের শিবিরে। সূত্রের খবর, আব্বাসের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া নিয়ে প্রদেশ ভবনের উপর ক্ষুব্ধ প্রয়াত সোমেন মিত্রের পরিবার। রবিবার রাতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হাজির হন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র ও পুত্র রোহনের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আবার দলবদলের আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তাঁরা। সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর কংগ্রেসের সঙ্গে এতদিনের সম্পর্কের সুতো কোথায় আলগা হয়ে গেল? তাহলে কি তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন? প্রশ্ন ঘনিয়েছে ভোটমুখী রাজনীতিতে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি ও তাঁর পরিবার যোগাযোগ রাখবেন বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন রোহন। সেক্ষেত্রে তাঁদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরও প্রবল বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ঘনিষ্ঠমহলে শিখা মিত্র বলেছেন, আমি অবাক হয়ে যাই, যাঁরা সোমেন মিত্রর জন্য আজকে এখানে এসেছেন, যাঁদেরকে লালন পালন করেছেন, তাঁরা দেখছি পদ পেয়ে খুব বাজে ব্যবহার করছেন। আমি নির্দিষ্ট করে কারও নাম বলতে চাই না। যাঁরা এখন কংগ্রেসের হর্তা–কর্তা–বিধাতা, তাঁরাই এই কাজ করছেন। উল্লেখ্য, বাম-কংগ্রেসের জোটের পক্ষে বরাবরই মত ছিল সোমেন মিত্রের। তবে তাঁর মৃত্যুর পর প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্র পরিবারের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ে। আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বাম–কংগ্রেসের জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সোমেন মিত্রের স্ত্রী–পুত্র। নাম না করে অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্তে আগেও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‌শিখাদি আমাদের শ্রদ্ধার দিদি। আমাদের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। আমি কংগ্রেসে যখন ছিলাম, তখনও শিখাদির সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এখনও আছে। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা রাজনীতির জন্য রাজনীতিতে আসেন না। সে সাধারণ মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য রাজনীতি করেন। শিখাদি এরকমই একজন মানুষ।’‌ সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে শিখা মিত্রকে প্রয়াত নেতার আসন, চোরঙ্গী থেকে টিকিট দেওয়ার কথা দেওয়া হয়েছে। সোমবার তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট বিজেপিতে যোগ দিলেও সেই দলে দেখা যায়নি শিখা-রোহনকে।