ব্রেকিং নিউজ স্বাস্থ্য

প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টিপস

প্রজনন সমস্যা পুরুষ বা মহিলা বা উভয়ের মধ্যেই বিদ্যমান থাকতে পারে। যা মোকাবিলার উপায়ও রয়েছে। বন্ধ্যাত্ব এমনই একটি সমস্যা যা বহু বিবাহিত দম্পতির মন এবং জীবনকে জর্জরিত করে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যেই রয়েছে বর্তমান জীবনযাত্রার বেশি কিছু ধরণ। এক্ষেত্রে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পুরুষ এবং নারী উভয়েরই সুস্থ সবল প্রজনন ক্ষমতা বজায় থাকে। যেমন-

• পর্যাপ্ত ঘুম:
রাত জাগার অভ্যাসও কিন্তু বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম শুক্রাণুর গুণগত মান ও যৌন চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে খুব সতর্ক হওয়ার দরকার।

• ওজন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব কম বা খুব বেশি ওজন, দু’টিই কিন্তু প্রজনন ক্ষমতার পক্ষে ক্ষতিকর। তাই উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ দরকার। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করুন, শরীরচর্চা শুরু করুন। এতে প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে।

• শরীরচর্চা:
নিয়মিত ব্যায়াম যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করবে, তেমনই শরীরের পুরুষ হরমোনগুলির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

• খাদ্যাভ্যাস:
সঠিক সময়ে খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুম, শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মানের উপর প্রভাব ফেলে। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার রাখুন পাতে। যেমন, আমন্ড, কলা, রসুন, মরসুমি ফল শাক-সব্জি, প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। মরসুমি ফলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যেমন এই প্রতিবন্ধকতা কমায়, তেমনই দই, দুধ জাতীয় খাবারের ভিটামিন ই-ও এই সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে।

• চিকিৎসকের পরামর্শ:
বন্ধ্যাত্বের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই নয়, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে উপযুক্ত চিকিৎসা করানো দরকার। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নিয়ম মেনে সে সব আয়ত্তে রাখতে পারলে যৌনজীবনও সুখের হবে।