শেষ পর্যন্ত কি করোনাভাইরাসের কাছে হার মানতে হবে মানব জাতিকে? এখন গোটা বিশ্বের কাছে এই একটা প্রশ্ন বড় আকারে দেখা দিয়েছে। যার উত্তর এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ কোনওরকম প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। তবে চেন্নাইয়ের এক পরমাণু বিজ্ঞানী চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
বিজ্ঞানীর দাবি, সূর্যগ্রহণের সঙ্গে এই ভাইরাসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। চেন্নাইয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী এই ভাইরাসের ভবিষ্যত বলে দিচ্ছেন। পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ কে সুন্দর কৃষ্ণা জানান, ২১ জুলাই সূর্যগ্রহণের পর এই পৃথিবী থেকে কমতে শুরু করবে করোনার প্রকোপ। করোনা কোনওভাবেই রাসায়নিক ল্যাবরেটরি থেকে উৎপন্ন করা হয়নি। এটি একটি মহাজাগতিক ঘটনা। মহাকাশ থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ছিল সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই চিনে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। অর্থাৎ সূর্যগ্রহণের পরই এই ভাইরাসের উৎপত্তি।
এবার আবার সূর্যগ্রহণ ২১ জুন। সেদিন এই ভাইরাসের বিনাশ হবে। চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানীর দাবি, ২৬ ডিসেম্বর সূর্যগ্রহণের পর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে রাসায়নিক বদল ঘটেছিল। তখন এই ভাইরাসের জন্ম। সূর্যগ্রহনের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িদাহত কণাগুলির মধ্যে বড় রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। এই বায়ো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশনের ফলে নিউট্রনের পরিবর্তন শুরু হয়। তখন বিভিন্ন ভাইরাসের নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। সূর্য গ্রহনের সময় তৈরি হওয়া বায়ো নিউক্লিয়ার ইন্টারঅ্যাকশন বিভিন্ন ভাইরাস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এই স্তরকে বলা হয় ডি লেভেল। ২১ জুন সূর্যের বলয়গ্রাস পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। তখনও বায়ুস্তরে বিভিন্ন রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটবে। তখনই এই ভাইরাসের বিনাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।