দেশ ব্রেকিং নিউজ

যুগান্তকারী রায় দিল সু্প্রিম কোর্ট

শুধু ভিন্ন ধর্মেই নয়। অন্য বর্ণে বিয়েও মেনে নেওয়ার সময় এসেছে বলে জানিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘‌কোনও পুরুষ বা মহিলার সম্পূর্ণ অধিকার আছে নিজের জীবনসঙ্গী পছন্দ করার। সেটা মেনে নিতে শিখতে হবে সমাজকে। এই শিক্ষার এখনই উৎকৃষ্ট সময়।’‌ লভ জেহাদ ইস্যুতে এবার এমনই মত জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কৌল ও হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এক মামলার শুনানির সময় জানায়, ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে বিয়ে মেনে নেওয়াটা খুবই জরুরি। এটি একটি সামাজিক অনুশীলনের মতো। অভিভাবকরা শুধু ভিন ধর্মে বিবাহের জন্য যদি নিজের সন্তানকে দূরে ঠেলে দেন, তা কখনওই আদর্শ সামাজিক রীতি হতে পারে না। কর্ণাটকের ভিন্ন ধর্মের এক অধ্যাপক দম্পতি বাড়ির ভিন্ন মতে গিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। সেখানেই সমস্যার সূত্রপাত। মেয়েটির বাড়ি থেকে মেয়ে নিখোঁজের মামলা করায় ওই দম্পতি আদালতে আবেদনপত্র জমা দেয়।
মধ্যপ্রদেশ কিংবা উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই ভিন্ন ধর্মে বিয়েকে লভ জেহাদ আইন এনেছে সরকার। তবে এই ঘটনাটি কর্নাটকের। স্বামী–স্ত্রী দু’‌জনেই উচ্চশিক্ষিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কিন্তু ভিন্ন ধর্মে প্রেম মেনে নেননি ওই তরুণীর পরিবারের লোকেরা। বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেন দম্পতি। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে এফআইআরের আর্জিকে পত্রপাঠ খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, যখন দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী–পুরুষ কোনও সম্পর্কে জড়ান, তখন কেবল তাঁদের বাবা–মা মেনে নিচ্ছেন না বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা করা যায় না। যত সময় এগোচ্ছে, তত এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি করে নিজেদের জীবনসঙ্গী নিজেরাই খুঁজে নিচ্ছেন। যাঁরা পরিবারের অমতে বিয়ে করছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা পুলিশকে করতে হবে।