জেলা

পরিযায়ী শ্রমিককে সাপের কামড়!‌

মুখে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দরদ দেখালেও ব্যবস্থাপনায় সেই দরদ দেখা গেল না। ফলে পরিযায়ী শ্রমিককে সাপের কামড় খেতে হল। তাও আবার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে!‌ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানানো হয়েছিল। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিককে সাপের কামড় খেতে হল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের যদুপুর এলাকায়। ফলে সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ খাঁড়া নামে ভিন রাজ্য ফেরত এক পরিযায়ী শ্রমিক ১০ দিন ধরে রয়েছেন যদুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। মশারির পাশে সাপটিকে দেখে তড়িঘড়ি পিটিয়ে মেরে ফেলে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা অপর এক পরিযায়ী শ্রমিক। এই গোটা ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় এলাকা। কোয়ারেন্টিন সেন্টারে কী করে সাপ ঢুকল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনকী কেউ দেখতেও পেল না?‌ নিরাপত্তারক্ষী কোথায় ছিল?‌
সাপের কামড়ে তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন। তখন গ্রামবাসীরা ছুটে এলে ওই পরিযায়ী শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দাসপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, ১০ দিন ধরে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকলেও পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও খোঁজখবর নেননি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এদিকে সূত্রের খবর, সাপের কামড় খাওয়ার পরে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স মেলেনি। তখন তাঁকে নিজেদের উদ্যোগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। অন্যদিকে বিষধর সাপটি কালচে সাপ হতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান বনবিভাগের।