রাজ্য সফরে এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি রীতিমতো প্রশ্ন তোলেন, ‘গরিবের প্রতি এত অন্যায় কেন করলেন দিদি?’ ডুমুরজলার মেগা যোগদানের মঞ্চ থেকে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন বাণ ছোড়েন স্মৃতি ইরানি। শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন তিনি। রবিবার এই মঞ্চ থেকে তাঁর কটাক্ষ, শুনতে পেয়েছি, দিদি নাকি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন ভবানীপুর ছেড়ে! তাই শুভেন্দুবাবু বলছেন, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, দিদিও জানেন বাংলায় পদ্ম এখন ঘরে ঘরে।
ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের হাতধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন ছিল সেই যোগদানের পর সভা। যেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘যাঁরা নিজের লোকের সঙ্গে নিজের লোকের যুদ্ধ লাগায়, জয় শ্রী রামের মতো স্লোগান শুনলে রেগে যায় সেই দলে কেউ থাকতে চায় না। ১৩০ থেকে ১৩৮ বিজেপি কর্মীকে আপনি মেরেছেন। সেই বলিদান বৃথা যাবে না।’
স্মৃতি ইরানি দাবি করেন, করোনা সময়কালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেছন। আর লকডাউনে লুট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতি পরিবারকে ৫ কিলো চাল ১ কিলো ডাল দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই ডাল আর চাল চুরি করেছে তৃণমূল। মানুষের সুবিধার্থে একটাই রেশন কার্ড চালু করেছে সরকার। আর তৃণমূল কুপন দিয়েছে। যাঁরা তৃণমূল করেছেন তাঁরাই পেয়েছে সেই কুপন।
দিদি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাননি। কিন্তু মোদীজি জন ধন যোজনার মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছেন মহিলাদের ব্যাঙ্কে। আমফানের সময় ১০০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে। তৃণমূল সরকার পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেই টাকা লুট করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এখানে কাটমানি না এলে কাজ হয় না, দিদি জানেন সেটি। একুশ সালের নির্বাচনে ২০০ পার হবে। পরিবর্তন হবেই, জানে বাংলার মানুষ বলেও দাবি করেন স্মৃতি।