টানা ৬বার ভুমিকম্পে কেঁপে উঠল সিলেট। তার জেরে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং বাজার আগামী ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দু’টি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। হেলে পড়া ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুর রহমান চৌধুরী।
ভোরে কেঁপে উঠে সিলেট নগরী। কয়েক দফা নগরীতে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, অসমের ডাউকি ফল্ট হচ্ছে ভূমিকম্পর উৎপত্তিস্থল। ডাউকি থেকে সিলেট নগরীর দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। সিটি কর্পোরেশন সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার, মিতালী ম্যানশন, রাজা ম্যানশন ও বন্দরবাজারের সিটি সুপার এবং মধুবন সুপার মার্কেট–সহ বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে চিহ্নিত করে ১০ দিন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, রবিবার থেকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ২.৮। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের সীমান্তবর্তী জয়ন্তী পাহাড় এলাকা। শনিবার একই উৎপত্তিস্থল থেকে পাঁচবার সর্বোচ্চ ৪ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বারবার ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সিলেট বিভাগ জুড়ে।
এদিন মেয়র বলেন, ‘২০০৫ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নগরীর ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে কয়েকটি ভবন ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৯ সালে নতুন করে সার্ভে করে নগরীর ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।’ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও সংশ্লিষ্টরা ভবনগুলি খালি করেনি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
