একসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল বাংলাদেশের আদালত। বাংলাদেশের বরগুনার রিফাত শরিফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি–সহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মহম্মদ আছাদুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় মোট ২৪ জন আসামীর মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হয়েছে। বাকি ১৪ জন আসামী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একজন আসামি পলাতক।
আদালত সূত্রে খবর, রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ আসামি হল রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আঁকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলি খান ওরফে টিকটক হৃদয় (২২) এবং মহম্মদ হাসান (১৯)। মুক্তি পেয়েছে রাফিউল ইসলাম, মহম্মদ সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন ও মহম্মদ মুসা। মুসা পলাতক।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ভূবন চন্দ্র হাওলাদার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে হতাশ মিন্নির আইনজীবী মাহবুব বারী আসলাম। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা। এই রায়ের পর যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো হয়েছিল পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি। টহলদারি চালাচ্ছিলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনার কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে৷ ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ২ জুলাই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। এদিন রায় ঘোষণা করে আদালত বলেছে, মিন্নি যে তার স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন, সরকারপক্ষ তা প্রমাণ করতে পেরেছে।