রাজ্য

বঙ্গে আরও ৬টি মেডিক্যাল কলেজ

আরও সরকারি ছ’টি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে ডাক্তারি পড়ার কয়েকশো আসন বাড়ানোর পথে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালে পঠনপাঠনের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে সেগুলিকে মেডিক্যাল কলেজের রূপ দেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যেই অন্ততপক্ষে দু’টি মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত করে পঠনপাঠন শুরু করা হবে।

 

সেক্ষেত্রে সামনের বছর নিট ফের কয়েকশো আসন বাড়ার সম্ভাবনা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রশাসনের কর্তারা জোরকদমে কাজ চালিয়েছেন। যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের ছেলেমেয়েদের এমবিবিএস পড়ার সুযোগ আরও বাড়ানো যায়।
রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো আরও উন্নত করে তুলেছে।

 

বেডের সংখ্যা, ভেন্টিলেশেনের ব্যবস্থা থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, অত্যাধুনিক যন্ত্র ও তার ব্যবহারে দক্ষ করে তুলেছে চিকিৎসক, নার্স এবং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। নবান্ন সূত্রে খবর, পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রয়োজন প্রচুর সংখ্যক চিকিৎসক। সেক্ষেত্রে ডাক্তারি পড়ার ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো বাড়াতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই দ্রুত আরও ৬টি মেডিক্যাল কলেজের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।

 

সেই হাসপাতালগুলিকে কেন্দ্র করেই এমবিবিএস পড়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে— হাওড়ার উলুবেড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, হুগলির আরামবাগ, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, ঝাড়গ্রাম এবং জলপাইগুড়ি।

এক সরকারি অফিসারের কথায়, রাজ্যে চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে, সেটা জানা কথা। সেটা মেটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু একটা মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তুলে সেখানে ডাক্তারি পড়ানোর ব্যবস্থা করতে যেমন সময় লাগবে, তেমনই সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত হয়, জেলায় ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে পঠনপাঠনের পরিকাঠামো তৈরি করবে সরকার। গড়া হবে ক্লাসরুম-সহ অন্যান্য ব্যবস্থা।

সূত্রের খবর, প্রয়োজন হলে বেসরকারি কোনও বাড়ি ভাড়া নিয়েও আপাতত কাজ চালানো হতে পারে। প্রতিটি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকা করে খরচ ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অনুমোদনও মিলেছে কয়েকটি ক্ষেত্রে। কেন্দ্রের থেকে কিছুটা অর্থও মিলবে। কেন্দ্র দেবে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থ। বাকিটা রাজ্যের। তবে তার আগে এমবিবিএস কোর্স চালু করার জন্য এমসিআইয়ের একাধিক শর্ত পূরণ করতে হবে।