জেলা

পদ থেকে অপসারিত শিশির

উপসর্গহীন ভাইরাস সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শিশির অধিকারীকে৷ শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের প্রতি খানিক কড়া হচ্ছিল তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই বাড়িতে আরও উপসর্গহীন ভাইরাস রয়েছে। কিছুদিন আগে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হয়েছিল সৌমেন্দু অধিকারীকে। এবার সরিয়ে দেওয়া হল বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীকে। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হলেন অখিল গিরি।
এই বিষয়ে অখিল গিরি জানান, ‘‌আমার কাছে সরকারি কোনও কাগজ এসে পৌঁছয়নি। আমি সংবাদমাধ্যমেই শুনলাম। সরকারি কাগজ পেলে বুধবার থেকে অফিসিয়ালি কাজ শুরু হবে। সামনে ভোট। অনেক কাজ করতে হবে। আর শিশিরবাবু থাকতে চাইলে নিশ্চয়ই থাকবেন, উনি অসুস্থ বলেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত।’‌
উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসে কাঁথিতে সভা করেন সৌগত রায়–ফিরহাদ হাকিম। তবে শরীর ভাল নেই জানিয়ে সভায় ছিলেন না শিশির অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন না অধিকারী পরিবারের কেউই। শুভেন্দু অধিকারী দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই অধিকারী পরিবারে সঙ্গে তৃণমূলের সমীকরণ সম্পূর্ণ বদলে যায়।
নিজের ঘরেই পদ্ম ফোটাতে পারেনি বাংলায় কি পদ্ম ফোটাবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সৌমেন্দুকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুভেন্দু। আর বলেন, আমার বাড়ির লোকও পদ্ম ফোটাবে। তখন অভিষেক তোপ দেগে বলেন, ওই বাড়িতে আরও উপসর্গহীন ভাইরাস রয়েছে। যা চিহ্নিত হয়ে গেল। কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসকের দায়িত্ব নিচ্ছেন সিদ্ধার্থ মাইতি। তিনি আবার তৃণমূল নেতা অখিল গিরির ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত।