কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশিরকে বড় পদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। বিধানসভা ভোটের মধ্যেই তার কৌশল সাজানো শুরু করে দিল বিজেপি। কী হবে বর্ধমান পূর্ব ও কাঁথি আসনে এসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই উঠে এল শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল করার প্রস্তাব। বিজেপি সূত্রে এমন খবর মিললেও শিশিরবাবু জানান, তাঁর কাছে কোনও খবর নেই।
গত ২১ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় শিবির বদল করেছেন শিশির। পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে শিশির বলেন, ‘এটা আমার আত্মসম্মানের লড়াই। চিরকাল লড়াই করেছি, আগামী দিনেও লড়ব।’ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের সাংসদ–পদ ছাড়েননি শিশির। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যে ভোট মিটলে দল তাঁর সাংসদ–পদ খারিজের জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে আবেদন জানাবে।
কিন্তু কাঁথিতে কী হবে বিজেপির রণনীতি? তা নিয়ে ভাবতে বসেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এলাকায় অধিকারী পরিবারের আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে কী করে পশ্চিমবঙ্গে একটা আসন বাড়িয়ে নেওয়া যায় তার প্রাথমিক রণকৌশল ঠিক করে ফেলেছে তারা। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপি শিশিরকে ‘সম্মানজনক পুনর্বাসন’ দিতে চায়। তাই তাঁকে রাজ্যপাল করার ভাবনা। অর্থাৎ, রাজ্যপাল করা হলে কাঁথির সাংসদের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। কিন্তু শিশিরের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রস্তাব এলে তিনি ফেরাবেন না।
পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল করা হতে পারে তাঁকে। সেজন্য কোথায় কোথায় রাজ্যপালের পদ খালি রয়েছে তা দেখা হচ্ছে। শিশিরবাবুর জায়গায় প্রার্থী করা হবে অধিকারী বাড়ির ছোট ছেলে সৌমেন্দুকে। কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক করে রাজ্য সরকার। কিন্তু শুভেন্দু দল ছাড়ার পর তাঁকেও অপসারণ করা হয়। এরপর বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু। শিশিরকে রাজ্যপাল করার বিষয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া দু’টি রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবনায় রয়েছে।